Main Menu

‘মার্কিন নারী সেনার ডলার ভর্তি বাক্সের চেরাগের মুল রহস্য ’! প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

‘মার্কিন নারী সেনার ডলার ভর্তি বাক্স’ নিতে ব্যবসায়ীকে চাপ, থানায় অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর এলাকার বেনারসি শাড়ি ব্যবসায়ী শাহ মান্নার ঠিকানায় ২৫ লাখ ডলার ভর্তি বাক্স পাঠিয়েছেন এক ‘মার্কিন নারী সেনা’। সম্প্রতি এক মেইলের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি।

একটি কুরিয়ার কোম্পানিতে থাকা ডলারভর্তি বাক্সটি ছাড়িয়ে নিতে খরচ করতে হবে ৫৫ হাজার টাকা বলে তাকে জানানো হয়।দেশি-বিদেশি নারীরা তাকে এ অর্থ নিতে চাপ দিলে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মিরপুরের পল্লবী থানায় অভিযোগ করেছেন শাহ মান্না।

প্রতারণার অভিযোগে শাড়ি ব্যবসায়ী মান্না উল্লেখ করেন, দেশি-বিদেশ কয়েকজন নারী তাকে প্রতিনিয়ত ফোন করে ডলারের বাক্স ছাড়িয়ে নেওয়ার কথা বলছেন। এজন্য একটি বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ফি বাবদ ৫৫ হাজার টাকা জমা করতে বলা হয়েছে তাকে।

ব্যবসায়ী শাহ মান্না থানায় অভিযোগে জানান, কয়েক দিন আগে তার ফেসবুক মেসেঞ্জারে এক অপরিচিত নারী ই-মেইল অ্যাড্রেস পাঠান। দ্রুত সেই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে বলা হয় তাকে। যোগাযোগ করা হলে ওই নারী জানান, তিনি একজন মার্কিন সেনা সদস্য। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন ইয়েমেনের রাজধানী সানায়। সেখানে গৃহযুদ্ধ চলছে। তার কাছে ২৫ লাখ ডলার সংরক্ষিত আছে। কারও সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় এসব অর্থ ‘টিএনটি ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মান্নাকে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ওই নারী।

গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মান্নার কাছে আরও একটি ই-মেইল আসে। এতে বলা হয়, মান্নার ঠিকানায় একটি ডলার ভর্তি বাক্স পাঠানো হয়েছে। ৭৪০ ডলার ফি দিয়ে বক্সটি যেন তিনি নিয়ে নেন। কুরিয়ার কোম্পানির একটি মেমো মান্নার ই-মেইলে যুক্ত করে দেওয়া হয়।

এর দুদিন পর অর্থাৎ গত রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিমান সংলগ্ন টিএনটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক নারী তাকে একাধিক নম্বর দিয়ে ফোন করেন। মান্নাকে বলা হয় ফি বাবদ ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে পার্সেলটি ছাড়িয়ে নিতে। বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের নম্বর দিয়ে এ ফি জমা দিতে বলা হয় তাকে। টাকা জমা দিলেই মান্নার ঠিকানায় পার্সেল চলে যাবে বলেও জানানো হয়।

শাহ মান্না বলেন, প্রতিনিয়ত আমাকে ফোন করে ডলার নেওয়ার প্রলোভন ও চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি চাই এই প্রতারক চক্রের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিদ হাসান বলেন, বুধবার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। এ চক্রের কয়েকটি মোবাইল ফোন নম্বর হাতে পেয়েছি। এ ব্যাপারে সাইবার ক্রাইমে যোগাযোগ করা হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *