জকিগঞ্জে জামেয়া ইসলামিয়া নিজগ্রাম মাদ্রাসায় ভাঙচুরের অভিযোগ
জকিগঞ্জে জামেয়া ইসলামিয়া নিজগ্রাম মাদ্রাসায় হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:
জকিগঞ্জের বারহাল ইউপি এলাকার জামেয়া ইসলামিয়া নিজগ্রাম মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকেলে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এতে মাদ্রাসার অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে বুধবার রাতে জকিগঞ্জ থানায় নিজগ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুল হাছিব হাসিমসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম।
অভিযোগে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, মাদ্রাসার পাশের বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল হাছিব হাসিম দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসা কমিটিতে তার মনোনীত লোকজনকে রাখার জন্য চেষ্ঠা তদবির এবং তিনি কমিটির কেউ না হয়েও শিক্ষক ছাত্রদের উপর কর্তৃত্ব খাটানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেকে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতে রাখার প্রস্তাব করেন। কিন্তু কমিটির অন্য সদস্যরা তাকে কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করেননি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার লোকজনের সাথে আব্দুল হাছিব হাসিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্যতা ও বিরোধ চলছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার বিকেলে মাদ্রাসার হলরুমে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণসহ এলাকার লোকজনকে নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনার বিষয়ে সভা শুরু হয়। সভার একপর্যায়ে আব্দুল হাছিব হাসিমের লোকজন দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও মাদ্রসারা জরুরী কাগজপত্র নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে তিনি দাবী করেন।
মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ও বারহাল ইউপির সদস্য জাবের আহমদ জানান, আব্দুল হাছিব হাসিম মাদ্রাসার মুহতামিম হওয়ার জন্য প্রায় ৫ বছর আগে মাদ্রাসায় ৭ শতক জায়গা মৌখিকভাবে দান করেন। কিন্তু এলাকার লোকজন তাকে মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে নিয়োগ না দেয়ায় তিনি গত বছর দানকৃত জায়গা আবারও ফিরিয়ে নেন। এ বিষয়টি নিয়ে ও মাদ্রাসার উন্নয়ন এবং পরিচালনা বিষয়ে বুধবার বিকেলে মাদ্রাসায় সভা চলাকালে আব্দুল হাছিব হাসিমের ভাই উত্তেজনামূলক বক্তব্য দেন। এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
তবে এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও কাল্পনিক দাবী করে আব্দুল হাছিব হাসিম জানান, তিনি অন্য একটি টাইটেল মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজগ্রাম মাদ্রাসায় কখনো তিনি মুহতামিম হতে চাননি। মাদ্রাসাকে একটি মহল এককভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছে। পরিচালনা কমিটির কাছে হিসেব নিকেশ বিষয়ে জবাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে আমাদেরকে মারধর করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মো. মোশাররফ হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More