ঘরেও পানি, বাইরেও পানি

নিউজ ডেস্ক:
ঘরেও পানি, বাইরেও পানি
মুশলধারার বৃষ্টিতে নির্ঘুম রাত কাটে সিলেট নগরবাসীর। কখন বুঝি ঘরেদুয়ারে ঢুকে পড়ে পানি। বৃষ্টির সময় দিশেহারা হয়ে বাসা-বাড়ির আসবাপত্র গুছাতে হয়। এমনটাই এখন নগরজীবনের নিত্যদিনের ব্যাপার।
রাত থেকে নামা বৃষ্টিতে ঘরেও পানি, বাইরেও পানি দেখে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষজনের। সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টির ফলেনগরের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলজটের। সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত টানা কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে।
নগরীর চন্ডিপুল-পুলেরমুখের বঙ্গবীর রোড, চৌহাট্টা-নয়াসড়ক, রাজারগলি, পায়রা, বাদাম বাগিচা, খাসদবীরসহ বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। এসব এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানপাটেও পানি প্রবেশ করেছে।
নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিয়ে একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটুপানি হয়ে যায়।জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন নগরের নিচু এলাকার মানুষ। বিভিন্ন বাসার নিচতলা পানিতে প্লাবিত হওয়ায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাসিন্দারা খাটের ওপর তুলে রাখেন। অনেক বাসার মেঝেতে থাকা জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে।
নগরীর পায়রা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফটো সাংবাদিক মো.আজমল আলী জানান, মধ্যরাত থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নগরের ১নং ওয়ার্ডের মিরের ময়দান পায়রা, রাজারগলি এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে। অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ওঠে। এতে স্থানীয় লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পায়রা এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অথচ এর কোনো সমাধান সিটি করপোরেশন করছে না।
দক্ষিণ সুরমার রুমন আহমদ বলেন, পুরা বছর ড্রেনের কাজ চলের।কোনো কুল-কিনারা নেই।বৃষ্টি হলেই বঙ্গবীর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়ে।গোড়ালি থেকে হাঁটুপানি হয়ে যায়।গাড়ি নিয়ে যাওয়া আসা করতে হলে ভোগান্তির শেষ নেই।
কাওছার মিয়া নামে আরেকজন বলেন,নগরে অধিকাংশ ড্রেনের কাজ অর্ধসম্পন্ন। কাজ চলছে ধীরগতিতে। তাই বৃষ্টি হলেই পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক নালা, নর্দমা ও ছড়া ভরাট হয়ে গেছে। পানি সহজে নামতে পারে না।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাইদ চৌধুরী জানান, আজ সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮.২ মিলিমিটার। গতকাল মোট বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিলো ১৩.৫ মিলিমিটার।এর আগের দিন ছিলো ১১৬.২ মিলিমিটার।বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগামীকাল থেকে কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের এই কর্মকর্তা।
Related News

সুনামগঞ্জে হাওরে জলাবদ্ধতায় বিপাকে কৃষক
সুনামগঞ্জে হাওরে জলাবদ্ধতায় বিপাকে কৃষক চলতি বোরো আবাদ মৌসুমে সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি হাওরে জলাবদ্ধতার কারণেRead More

ভারতের উচিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা: মির্জা ফখরুল
ভারতের উচিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা: মির্জা ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,Read More