Main Menu

দক্ষিণ আফ্রিকায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার পুমালাঙ্গা প্রদেশের লাইডেনবার্গে তালাবদ্ধ ঘর থেকে গৃহবধূ শান্তা ইসলাম (২২) ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের পর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।

শান্তা ইসলামের আত্মীয় দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী পলাশ সিকদার গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার (২৯ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার সময় একটি জঙ্গল থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে লাইডেনবার্গ পুলিশ।

লাইডেনবার্গে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন সুমন-শান্তা। ২৮ আগস্ট ওই বাসা থেকে শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

শান্তার দেশের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ফলপাড়া গ্রামে। সুমন মিয়ার বাড়ি একই জেলার বাসাইল থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে।

শান্তার এক আত্মীয়ের বরাত দিয়ে কমিউনিটি নেতা শফিকুর রহমান এর আগে জানিয়েছিলেন শান্তা তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। টেলিফোনে সুমনের সঙ্গে বিয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে আসেন শান্তা।

শান্তার পরিবারের অভিযোগ শান্তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন সুমন। বিভিন্ন সময় শান্তার পরিবারকে মোটা অংকের টাকা পাঠাতে বাধ্য করেন সুমন। শান্তার পরিবার সাত লাখ টাকা পাঠালেও আরও টাকার জন্য শান্তাকে নির্যাতন করে আসছিলেন সুমন।

গতকাল রবিবারও শান্তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন সুমন। এদিন বিকেলের দিকে শান্তার মোবাইলে কল করা হলে তাকে না পেয়ে ছালাম শিকদার আফ্রিকায় বসবাসরত তাঁর আত্মীয়দের বিষয়টি জানান।

স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত একটা) আফ্রিকায় বসবাসরত কয়েকজন আত্মীয় সুমনের বাসায় যান। বাসায় গিয়ে দরজায় তালা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে শান্তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম ও পেটে ১৪টি ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ মরদেহের পাশ থেকে চাকু, হাতুড়ি ও রেঞ্জ উদ্ধার করেছে।

এদিকে শান্তাকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক আলামত পেয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

পুলিশ জানিয়েছে সুমনকে দু’একদিনের মধ্যে আদালতে বিচারের মুখামুখি করা হবে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে শান্তা ইসলামের পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশ পরিষদ, মুক্তবাংলা ফাউন্ডেশন, টাঙ্গাইল কমিউনিটি অব প্রিটোরিয়া, ইসলামি ফোরাম অব আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *