আবারও ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট, সেই ঝুমন গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক:
দীর্ঘ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আবারও ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট শেয়ার করেছেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সেই আলোচিত ও সমালোচিত ঝুমন দাস। এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিলে তাকে গ্রেফতার করেছে শাল্লা থানা পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শাল্লা থানার এসআই সুমনুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নাম্বার ৬, তারিখ ৩০.০৮.২০২২।
শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফেসবুকে একটি উসকানিমূলক পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। সে কারণে নোয়াগাঁও গ্রামে উত্তেজনা দেখা দিলে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর পর গতকাল তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ‘শানে রিসালাত সম্মেলন’ নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এই সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের ঝুমন দাস। স্ট্যাটাসে তিনি মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন।
মামুনুলের সমালোচনাকে ইসলামের সমালোচনা বলে এলাকায় প্রচার চালাতে থাকেন তার অনুসারীরা। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পরদিন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর সকালে কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে হামলা চালায় নোয়াগাঁও গ্রামে। ঝুমন দাসের বাড়িসহ হাওরপাড়ের হিন্দু গ্রামটির বাড়ি, মন্দির ভাংচুর করে উত্তেজিত জনতা।
এরপর ২২ মার্চ ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে শাল্লা থানার এসআই আবদুল করিম।
শাল্লায় হামলার ঘটনায় শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম, স্থানীয় হাবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল ও ঝুমন দাসের মা নিভা রানী তিনটি মামলা করেন। তিন মামলায় প্রায় ৩ হাজার আসামি। পুলিশ নানা সময়ে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই এখন জামিনে।
শুধু জামিন পাচ্ছিলেন না ঝুমন দাস। বিচারিক আদালতে পাঁচ দফা তার জামিন আবেদন নাকচ করেন বিচারক। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন অধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছিল।
এর মধ্যে জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন ঝুমন দাস। কারাবন্দির ছয় মাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। জামিন পেয়ে আবারো ফেইসবুকে উত্তেজনামুলক পোস্ট শেয়ার করেন।
Related News

সুনামগঞ্জে হাওরে জলাবদ্ধতায় বিপাকে কৃষক
সুনামগঞ্জে হাওরে জলাবদ্ধতায় বিপাকে কৃষক চলতি বোরো আবাদ মৌসুমে সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি হাওরে জলাবদ্ধতার কারণেRead More

ভারতের উচিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা: মির্জা ফখরুল
ভারতের উচিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা: মির্জা ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,Read More