মক্কায় গ্রান্ড মসজিদের সাবেক ইমামের ১০ বছরের সাজা
বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের সাবেক ইমাম শেখ সালেহ আল তালিবকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সৌদি আরবের আপিল আদালত।
এ খবর দিয়ে অনলাইন মিডল ইস্ট আই বলেছে, এর আগে তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রিয়াদে স্পেশালাইজ ক্রিমিনাল আপিলস কোর্ট সেই রায় বাতিল করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ’কে উদ্ধৃত করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এতে আরও বলা হয় ইমাম তালিবকে ২০১৮ সালে প্রথম আটক করে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু কি কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তারা তা বলেনি। তবে তিনি বয়ানের ভিতর জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির সমালোচনা করার পরেই এ ঘটনা ঘটে। জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটি হলো বিনোদন জগত পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি পরিষদ। ওই বয়ানে তিনি কনসার্টের সমালোচনা করেছিলেন।
কনসার্টে দেশের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক আদর্শ ভঙ্গ হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে অসংখ্য অনুসারী আছেন এই ইমামের। ইউটিউবে তার বয়ান দেখেন এবং পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শোনেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সমাজ সংস্কারে এবং তেলের ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতির দেশটিতে বৈচিত্র আনার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তখনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিডল ইস্ট আই আরও লিখেছে, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যখনই ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে ক্ষমতার মূল হয়ে উঠেছেন, তখন থেকেই অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো বলে আসছে- কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রথম সারির ধর্মীয় নেতা ও ইমাম সহ কয়েক ডজন মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। এসব ধর্মীয় ব্যক্তি তার সংস্কার এজেন্ডার সমালোচনা করেছেন।
গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন সালমান আল ওদাহ। সৌদি আরবের নেতৃত্বে যখন কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়া হয়েছিল, তখন তিনি কাতারিদের সঙ্গে সৌদি আরবের মতপার্থক্য মিটমাট করে ফেলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ওদিকে তুরস্কে নৃশংসভাবে নিহত সাংবাদিক জামাল খাসোগি প্রতিষ্ঠিত গ্রুপ ডন নিশ্চিত করেছে ইমাম শেখ সালেহ আল তালিব’কে জেল দেয়া হয়েছে। গ্রুপটি টুইটারে এটা নিশ্চিত করেছে। ডনের মুখপাত্র আব্দুল্লাহ আলাউদ এই জেল দেয়ার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, তারা বলেছে, সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বললেই ধর্মীয় নেতারা এবং ইমামরা এভাবে জেলের মুখোমুখি হচ্ছেন।
আব্দুল্লাহ আলাউদের পিতা সালমান আল ওদাহ। আব্দুল্লাহ আলাউদ বলেছেন, প্রতিটি গ্রুপের বিরুদ্ধে নিপীড়নের হুমকি হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। বাস্তবিক সামাজিক সংস্কার চেয়েছিলেন নারী অধিকারকর্মী সালমা আলশেহাব। তাকে ৩৪ ববছরের জেল দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সামাজিক পরিবর্তনের সমালোচনা করার কারণে গ্রান্ড মসজিদের ইমাম শেখ আল তালিবকে ১০ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। এগুলোই আমাদেরকে এক কঠোর এক পরিণতির কথা বলে দেয়। ইমাম আল তালিবসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মধ্যে অভিন্ন বিষয় হলো তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মত প্রকাশ করেছেন এবং এ জন্য তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই সবার বিরুদ্ধে এই নিষ্পেষণ বন্ধ হওয়া উচিত।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More