Main Menu

জার্মানিতে ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন ভিসা: দীর্ঘ অপেক্ষা

ডেস্ক রিপোর্ট:
জার্মানিতে ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন ভিসা: দীর্ঘ অপেক্ষা
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে উঠছে জার্মানিতে পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা পাওয়ার সময়৷ কোন কোন ক্ষেত্রে আবেদনের পর এমনকি সাক্ষাৎকারের সময় পেতেই এক বছরের বেশি সময় লাগছে৷

জার্মানিতে বসবাসের অনুমতি পাওয়া ব্যক্তিরা তাদের নিকট স্বজনদের নিয়ে আসার সুযোগ পান৷ এমনকি পালিয়ে আসা অভিবাসীরাও তাদের নিকটজনদের দেশটিতে আনার সুযোগ পান৷ কিন্তু প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট জটিল ও দীর্ঘ৷ অনেক পরিবারকে বছরের পর বছরও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে প্রিয়জনদেনর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য৷

চলতি সপ্তাহে জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি৷ চলতি বছর জুন পর্যন্ত জার্মানিতে সুরক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের চার হাজার ৫২৭টি ভিসা প্রদান করা হয়েছে৷ যেখানে ২০২১ সালে সারা বছরে ইস্যু করা হয়েছিল নয় হাজার ৮৯১টি ভিসা৷

বেশিরভাগ পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা দেয়া হয়েছে সাবসিডিয়ারি প্রটেকশন বা সহায়ক সুরক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের৷ নিজ দেশে ফিরে গেলে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন শরণার্থী স্বীকৃতি না পাওয়া এমন ব্যক্তিদের এই সুরক্ষা দেয়া হয়৷

দীর্ঘ অপেক্ষা নিয়ে প্রশ্ন:
সহায়ক সুরক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্বজনদের প্রতি মাসে সর্বোচ্চ এক হাজার ভিসা দেয়ার একটি সীমা বেধে দিয়েছে জার্মানির সরকার৷ ২০১৮ সালে এই নিয়ম চালুর পর ভিসা ইস্যুর সংখ্যা এখনও এই সীমায় পৌঁছেনি৷

পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে না পারার জন্য দেশটির সরকারের সমালোচনা করে আসছে অভিবাসীদের অধিকার সংগঠনগুলো৷ শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন প্রো অ্যাসাইল জোট সরকারকে তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সবার জন্য পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসার সমান অধিকার দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে৷ ভিসা ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজ করার উপরও জোর দিয়েছে তারা৷

বামপন্থি দল ডি লিঙ্কে গত সপ্তাহে পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসার দেরি নিয়েও সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছে৷ দলটি জানিয়েছে ইসলামাবাদ ও দিল্লিতে অনেক আফগান পরিবারের সদস্যরা ভিসা আবেদন করার পর ২০২৩ সালের মার্চ বা তারপরে সাক্ষাৎকারের সময় পেয়েছেন৷

পার্লামেন্টে ডি লিঙ্কের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসার অপেক্ষাকালীন সময় যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে৷ সেই সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা মেনে পরিবারের সদস্য ও শিশুদের সুরক্ষা দেয়ার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *