স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যু অভিবাসীর নাগরিকত্ব অর্জনে বাধা নয়: ইতালির আদালত
বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
স্বামী বা স্ত্রী মারা গেলে কোনো অভিবাসীর নাগরিকত্ব অর্জনে তা বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছে ইতালির সাংবিধানিক আদালত। ইতালীয় আইনে পূর্বে বলা হয়েছিল, নাগরিকত্বের প্রক্রিয়াকরণের সময় যদি কারো স্বামী বা স্ত্রী মারা যান, তাহলে আবেদনটি অবৈধ বলে গণ্য হবে৷ ইতালীয় সাংবিধানিক আদালতের রায়ে আগের এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয়া হয়েছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে,ইতালীয় নাগরিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ কোনো বিদেশি অভিবাসী, শরণার্থী কিংবা রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করলে আবেদন চলাকালে স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যু হলেও তার নাগরিকত্ব অধিকারের স্বীকৃতি বাতিল হতে পারে না৷ মৃত্যুর কারণে বৈবাহিক বন্ধনের উপর ভিত্তি করে তৈরী সার্বজনীন সুরক্ষা বাতিল হতে পারে না৷
আদালত আরও জানায়, ‘‘একজন ইতালীয় নাগরিকের সাথে বিবাহিত ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা ইতালিয় সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদের সম্পূর্ণ বিপরীত৷ প্রক্রিয়া চলাকালে কারও স্বামী ও বা স্ত্রীর মৃত্যুতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোন দায় থাকতে পারে না৷ কারণ মৃত্যু এমন একটি ঘটনা যা কোন ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার উর্ধ্বে৷ এ কারণে কারো নাগরিকত্বপ্রাপ্তির আবেদন প্রত্যাখ্যাত হতে পারে না৷
আদালতের রায়ে উল্লেখ আরও করা হয়েছে, মৃত্যু বিবাহ বন্ধনের অবসান ঘটালেও এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং তাতে সর্বজনীন সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার কোনো অবসান হয় না৷ বৈবাহিক বন্ধনের মাধ্যমে অর্জিত অধিকারগুলিকে বাধাগ্রস্ত বা অবরুদ্ধ করা বেআইনি৷’’
প্রসঙ্গত, একজন ইতালীয় ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তি যদি টানা দুই বছর ইতালিতে বসবাস করেন সেক্ষত্রে তিনি নাগরিকত্ব আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন৷ তারা যদি একসাথে ইতালির বাইরে অবস্থান করেন সেক্ষেত্রে বিয়ের তিন বছর পর নাগরিকত্ব অর্জনের আইনি প্রক্রিয়ায় আবেদন করার সুযোগ পেয়ে থাকেন৷ বিবাহিত দম্পতির সন্তান জন্ম নিলে এই সময়কাল অর্ধেক কমে যায়৷
Related News
ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায়
ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায় পৃথিবীর অন্যতম মহাদেশ ইউরোপ। প্রতিবছর বিশ্বের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী, দক্ষ কিংবাRead More
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ আরব উপদ্বীপের দেশ কুয়েত থেকে কফিনে করেRead More