মদিনার গল্প যতই করব ততই হবে অল্প
চৌধুরী হাফিজ আহমদ:
মদিনা মদিনা মদিনা , নামেই ঝলক লাগে – উদাসী মন হয়ে যায় শান্ত , অবুঝ হৃদয়ে চলে আসে শান্তনা , একদম যেন রহমতের ঝর্ণা ধারা সেই বারিধারা ঝরে পরছে অবিরত , এই মদিনার নাম ছিল ইয়াস্রেব এটা এমন এক ভুমি যা আগে থেকেই আল্লাহ সৃষ্টি করে রেখেছিলেন মানবতা কল্যানের জন্য উপযোগী করে , এমন শান্তির পরিবেশ বইছিল যখন ছিল কুফরি বা জাহেলী যুগ , মানুষ কুল যেন খুজতেছিল বা অপেক্ষা রত , ইয়াস্রেবের আদি ও পুরাতন ইতিহাস ঘেঁটে আমি পেলাম কখনোই সেই সব এলাকায় অভাব ছিল না জুলুম অত্যাচার ছিল না , ন্যায় পরায়নতা ও শান্তিময়তা বিরাজ করত , জাহেলী যুগে যে সব জুলুম হত তখন ইয়াস্রেবে তা খুব কম হত , ইয়াস্রেব থেকে নাম হল তায়বাহ বা তাবাহ , হিজরি সন থেকে প্রায় হাজার ২ আগে তা ছিল ইহুদিদের কবলে , তখন ও অবস্তান ছিল চাঙ্গা , আউজ এবং খাজরাজ আমলে ও এই এলাকার অধিবাসী ছিল অন্যান্য এলাকার মধ্যে উন্নত ও সহানুভূতিশীল , এর মধ্যে অন্যতম হল রাব্বুল আল- আমিন জানেন মাদিনাই হবে রাহমাতুল্লিল আল আমিনের বাসস্তান করমস্তান বিশ্রামস্তান । তাই শুরু থেকেই এখানে তিনি যাহাদের রেখেছেন তাহাদের সেই রকম মন মেজাজ দিয়েই পয়দা করেছিলেন , আমার দরদী মন যখনি মদিনায় যায় তখনি যে গন্ধ পাই তা অন্য কোথাও পাইনা , মাসজিদ থেকে বের হলে ২১ নাম্বার গেইট দিয়ে সোজা যখন দেখি উহুদের ময়দান তখন মন আনন্দে মাতওয়ারা হয়ে যায় , আমি একবার পায়ে হেটে মাসজিদে কুবা পর্যন্ত গেলাম সাথীরা ক্লান্ত কিন্তু আমি চলছি ই চলছি ,একদম ক্লান্তিবোধ করিনি , কারন রাসুলুল্লাহ সঃ যেইসব কাজ করেছেন সেই সব করতে আমি আনন্দ যেমন পাই তেমনি সাক্ষী রাখি সময় কে , যাহাতে আখিরাতে হিসাবে কাজে লাগে এবং ওজনে ভারি হয় , মদিনার ইতিহাস যতই বলব ততই যেন অল্প , আমার সাথে যাহারা হাজ্জ কিংবা উমরাহ করতে যায় তাহারা আমাকে খুঁজে বের করে ২য় বার , তাহাদের স্বজন আত্মীয়দের বলে পাঁঠায় আমার সাথে যেতে তাহারাই আমার বিজ্ঞাপন প্রচার করে ,মদিনায় যে শান্তি বিরাজ করে এর অন্যতম উৎস হচ্ছে দুরুদ শরীফ , যাহারাই দুরুদ শরিফের আমল করেন তাহারা বলতে পারবেন দুরুদ শরীফ এর ফজিলত । এবারে যখন আমি হজ্জের পরে মদিনায় গেলাম প্রবেশ পথেই সাথী দের সতর্কতা মূলক নসিহাত করলাম ,তাহাদের বললাম ভাই মদিনায় হুঁশে চলবেন , কেননা এখানে প্রতিনিয়ত অর্থাৎ মুহুরমুহ মালাইকারা অবতরন করছেন বিদায় নিচ্ছেন , আমি প্রথমেই জিয়ারত করে পরের দিন পরিচিত একজন কে জানান দিলাম , তিনি আমাকে সানন্দে বরণ করে বললেন – ইয়া আখি আহমাদ আনা ইন্তিজার ফিহ , ওয়া গুল ইস্তিক্কবাল ফি দাউর মাদিনা – মাদিনা কায়েস মারহাবা – আমরা যথারীতি মদিনার অলিতে গলিতে ঘুরতে রওয়ানা , তাহাদের আনন্দ আমার আনন্দ যেন আঁকাস ছোঁয়া , হজ্জের সফরে মদিনায় আমি এবারে তাই চিন্তা কম , এবারে আমার কাফেলায় হাজ্জি রা ও কম তাই ঝামেলা নাই বলতেই চলে , ম্যাপ ধরে এগুলাম ওরা আলাপ শুরু করল – আমাকে বলল মদিনায় চলছে উন্নয়নের ঝড় , মহাম্মাদ বিন সালমান তাহাদের বাদশার পুত্র এবং ২য় ক্ষমতাধর ব্যাক্তি তিনি নাকি নির্দেশ দিয়েছেন মদিনাকে উন্নতির একদম উচ্ছতায় নিয়ে যেতে হবে , প্রথম প্রকল্প হচ্ছে আবাসন , লাখ লাখ ফ্লাট তৈরি হচ্ছে , আমি এলাকা দেখে তাহারা সহ গেলাম আলাপ করতে – আমাকে জানাল সকল ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে গেছে , নতুন নতুন প্রকল্পে বুকিং হচ্ছে , আরও জানলাম এখানে কেন এত ভীর ।মাসজিদে নাববী সঃ এর সম্প্রসারনের কাজ ও চলছে এগিয়ে , প্রায় কয়েকটি এক্সটেনশন এক সাথে চলছে জান্নাতুল বাকী কবরস্তানের পূর্ব দিকে ২ টি ব্লকে এক সাথে চলছে কাজ সম্পূর্ণ হলেই ডান দিকে গারবিয়া র দিকে শুরু হবে ।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More