Main Menu

বিশ্বনাথে বন্যায় সড়ক ও রেলপথের ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১২৫ কোটি

নিউজ ডেস্ক:
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত সিলেটের বিশ্বনাথে সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ২৫০ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৬০টি সেতু ও কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রায় ১৯ কিলোমিটার ছাতক-সিলেট রেলপথ লণ্ডভণ্ড হয়েছে। বানের স্রোতে, পানির উত্তাল ঢেউয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে সড়ক ও সেতু। এছাড়াও গ্রামীণ রাস্তাঘাটও একেবারে বিলীন। গত ১৬ই জুন থেকে ২২শে জুন পর্যন্ত বিশ্বনাথে সর্বকালের ভয়াবহ বন্যায় পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়। ডুবে যায় বাড়িঘর রাস্তাঘাট। সিলেট জেলা শহরের সঙ্গে সারা দেশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অভ্যন্তরীণ সব সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। বানের জলে সড়ক কেবল ডুবে যায়নি প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে সড়ক, সেতু, কালভার্ট। পানি কমে যাওয়ায় দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যার ক্ষত বিক্ষত চিহ্ন। ভয়াবহ ক্ষত নিয়ে জেগে উঠছে সড়ক।

তবে এই অবস্থায় কতোদিন দুর্ভোগ পোহাতে হবে জানেন না পুরো উপজেলাবাসী। জানা গেছে, বিশ্বনাথে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। উপজেলার গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগসহ অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সব সড়কের ওপর দিয়ে ঢেউ খেলেছে ৪/৫ ফুট পানি। কোনো সড়কে ছিল কোমর সমান পানি আবার কোনো কোনো সড়ক তার চেয়েও বেশি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল। বন্যার সময় এসব পাকা সড়ক দিয়ে নৌকা চলতেও দেখা গেছে। ফলে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব সড়কেরই চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে লামাকাজী, খাজাঞ্চি, অলংকারি, রামপাশা, দৌলতপুর, দশঘর, বিশ্বনাথ ও দেওকলস ইউনিয়নের সকল গ্রামীণ সড়ক ও ব্রিজ কালভার্টের অবস্থা একেবারে নাজুক। সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও স্মরণকালের এই বন্যায় সবচাইতে উঁচু রেলপথকেও লণ্ডভণ্ড করে ফেলেছে। উপজেলার ভেতরে থাকা সিলেট-ছাতক রেলপথের স্লিপারের নিচের মাটি ও পাথর সরে গিয়ে খালে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বন্যার পানির স্রোতে মাটির সড়ক থেকে নিচে পড়ে গেছে রেললাইন। প্রায় ১ কিলোমিটার রেলপথ হেঁটে দেখা যায় প্রায় শতাধিক স্থানে খালের মতো ছোট বড় ভাঙন রয়েছে। সিলেটের রেল প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সিলেট-ছাতক রেলপথ রয়েছে ৩৩ কিলোমিটার। তারমধ্যে দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও ছাতক ৩টি উপজেলায় বন্যার পানিতে প্রায় ১৯ কিলোমিটার রেলপথ লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। তিনি এই ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, এবারের বন্যায় উপজেলার প্রায় ১০০টি পাকা সড়কের ২৫০ কিলোমিটার ও ৬০টি ব্রিজ কালভার্টের চরম ক্ষতি হয়েছে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এসব ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ব্রিজ কালভার্টের তালিকা পাঠিয়েছেন বলেও জানান।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *