Main Menu

নিউইয়র্কে গাড়ির ভেতরে বাংলাদেশির মরদেহ

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে নিজ গাড়ির ভিতর থেকে এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ। তার নাম আলী আকবর মামুন (৩৯)। তিনি ফুড ডেলিভারির কাজ করতেন এবং উবার চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।

বুধবার ভোর রাতে ম্যানহাটনের মিড টাউনের পার্ক ও লেক্সজিন্টন এভিনিউ এবং ৫১ স্ট্রিটে পুলিশ তার গাড়ির ভিতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

ধারণা করা হচ্ছে- গাড়ি চালানোর ফাঁকে তিনি স্ট্রোক করেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায়।

পুলিশে প্রথম যোগাযোগ করেন জনাব মাকসুদুল হক চৌধুরী। তিনি জানান, বুধবার ভোরে মামুন মিডটাউনে পার্ক ও লেক্সিনটন অ্যাভিনিউ এবং ৫১ স্ট্রিটে নিজ গাড়িতে মারা যান এবং পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

বিস্তারিত জানাতে গিয়ে প্রবাসী নেতা মাকসুদুল চৌধুরী জানান, মরহুম আলী আকবর মামুনের (৩৯) গ্রামের বাড়ি উনার এলাকায়।মরহুম মামুনের আপন বোন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে নিউইয়র্কে থাকা ভাইকে খবর দেন। ভাই সে মেসেজ গ্রহন করেন। পরে বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায় এবং নিউইয়র্ক সময় রাত ১টায় পরিবার এই মর্মান্তিক খবর পান।

তারা তাৎক্ষনিক ফ্লোরিডায় বাসকারী এক আত্মীয়ের মাধ্যমে নিউইয়র্ক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রথমে ফ্লোরিডায় থাকা আত্মীয় খবরটি ফেসবুকে দেন। যা ভাইরাল হয় এবং চিটাগাং সমিতি ইউএসএর সাবেক কর্মকর্তা ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মাকসুদুল হক চৌধুরীর নজরে আসে। তিনি মরহুমের মরদেহ মুসলিম আইন অনুযায়ী দাফনের উদ্দেশ্যে দেশে পাঠানোর (স্বজনদের ইচ্ছেনুযায়ী) দায়িত্ব নেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশিদের ব্যবস্থাপনায় একটি ফিউনারেল হোমে মরদেহ রাখার ব্যবস্থা করেন।

নিহত আলী আকবর মামুন ২০০৬ সালে ডিভি লটারি জয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্র আভিবাসী হন। তিনি জ্যাকসন হাইটস এলাকায় বসবাস করছিলেন। দেশে মা-বাবা, স্ত্রী ছাড়াও ২ বোন রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২ মাস ধরে তিনি দেশেও যোগাযোগ করছিলেন না।

মরহুম আলী আকবর মামুনের জানাজা শুক্রবার বাদ জুমা ব্রুকলিনস্থ বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সকল বাংলাদেশিদের জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন নিউইয়র্কে বসবাসকারী চট্টগ্রামবাসীর পক্ষে জনাব মাকসুদুল হক চৌধুরী।

শনিবার রাতের ফ্লাইটেই তার মরদেহ ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। তার দাফনের আয়োজন এবং দেশে পাঠানোর ব্যয় নির্বাহ করছেন নিউইয়র্কের সকল স্থরের প্রবাসী এবং চট্টগ্রামবাসী।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *