প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কে টু জয় ওয়াসফিয়ার

নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ পাকিস্তানের কে টু জয় করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পর্বতশৃঙ্গে পা রাখলেন তিনি। শুক্রবার (২২ জুলাই) বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে।
যে দলের সঙ্গে ওয়াসফিয়া কে টু জয় করেছেন সেটির প্রতিষ্ঠান এলিট এক্সপেডও শুক্রবার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ খবর জানিয়েছে। তাদের পোস্টে বলা হয়, সাফল্যের হার শতভাগ! অসাধারণ এই মৌসুম। কে টু অভিযানে আমাদের অবিশ্বাস্য দলটি তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে।
নিজের ফেসবুক পেজে ওয়াসফিয়া গত ১৭ জুলাই রাতে বেইজ ক্যাম্প থেকে কে টু চূড়ার উদ্দেশে যাত্রার কথা জানিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। বিখ্যাত তিন পর্বতারোহী মিংমা তেনজি শেরপা, মিংমা ডেভিড শেরপা ও নির্মল পুরজা এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
২০১২ সালের ২৬ মে ওয়াসফিয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেন। তিনি সেভেন-সামিটিয়ার বা পৃথিবীর সাত মহাদেশের সব বড় পর্বতজয়ী একজন। তার আগে ২০১২ সালে ১৯ মে নিশাত মজুমদার বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টে জয় করেন।
বিশ্বে আট হাজারি পর্বতশৃঙ্গ রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে উচ্চতায় প্রথমে রয়েছে এভারেস্ট- ৮৮৪৮ মিটার। তারপরই রয়েছে কে টু- ৮৬১১ মিটার। অনেক পর্বতারোহীর মতে এভারেস্টের চেয়েও দুর্গম কে টু।
হিমালয় পর্বতমালার কারাকোরাম পর্বতশ্রেণীর অন্তর্গত কে টু পর্বতশৃঙ্গটি পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের গিলগিত-বালতিস্তান ও চীনের জিংজিয়ানের তাক্সকোরগান সীমান্তে অবস্থিত।
এই পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করা অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এটি জংলী পর্বত নামেও পরিচিত। অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের পর আট-হাজারী পর্বতশৃঙ্গগুলোতে আরোহণ প্রচেষ্টায় মৃত্যুর হারের দিক থেকে কেটু-এর অবস্থান দ্বিতীয়। এর চূড়ায় আরোহণকারী প্রতি চার জনের মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছে।
Related News

ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায়
ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায় পৃথিবীর অন্যতম মহাদেশ ইউরোপ। প্রতিবছর বিশ্বের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী, দক্ষ কিংবাRead More

কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ আরব উপদ্বীপের দেশ কুয়েত থেকে কফিনে করেRead More