সিলেট-সুনামগঞ্জে ফের বন্যা, বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি
নিউজ ডেস্ক:
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় দ্বিতীয় দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে এই দুই জেলার নদীগুলো ফুঁসে উঠেছে। সুনামগঞ্জে সুরমার পানি বিপত্সীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপরে এবং সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপত্সীমার কাছে চলে এসেছে। এদিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট-সিলেট জেলা সদর সড়কও ডুবে গেছে। গোয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর, সারি-গোয়াইনঘাট সড়ক ডুবে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবেশ করছে।
সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মঙ্গলবার সকালে জরুরি সভা আহ্বান করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে জরুরি সতর্কতামূলক বার্তা পাঠিয়েছেন। এরই মধ্যে বন্যার্তদের জন্য ২২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে জেলা প্রশাসন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় ইত্তেফাককে বলেন, ‘পানি বাড়ছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি, তেমন ভয়ের কারণ নেই। এটা মৌসুমি পানি বৃদ্ধি।’
তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ‘তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর ১০০ মিটার’ রাস্তা শক্তিয়ারখলা গ্রামের কাছে ডুবে গেলে লোকজন নৌকায় পানি পার হয়ে পরে অটোরিকশায় যাতায়াত করছে। ঢলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে গেছে। তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন পানিবন্দি মানুষের মধ্যে চাল ও শুকনা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি ওঠায় পানিবন্দি রয়েছেন অনেক পরিবার।
সোমবার তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের তিনটি স্থান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেলে সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে লোকজন। অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ফলে ঐসব এলাকার মানুষজনের ভোগান্তি চরমে। তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির জানান, শক্তিয়ার খলা ১০০ মিটার রাস্তা ও আনোয়ারপুর সড়কটি প্লাবিত হয়ে সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, পানি আরো বাড়লে পেলে আউশ ধান ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে তাহিরপুরের লাউড়ের গড়ে ১৯০ মিলিমিটার ও সুনামগঞ্জে ৭৯ মিলিমিটার এবং সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কয়েক দিন ধরে ভারতের মেঘালয়ে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার সুনামগঞ্জ পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর, বড়পাড়া, সাহেববাড়ী ঘাট, পুরানপাড়া ও নবীনগর সড়কে পানি উঠে যায়।
Related News
মাধবপুরে পাঁচ বছর ধরে বন্ধ পাবলিক লাইব্রেরি
মাধবপুরে পাঁচ বছর ধরে বন্ধ পাবলিক লাইব্রেরি বছরের পর বছর ধরে বন্ধ থাকায় হবিগঞ্জের মাধবপুরRead More
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ আরব উপদ্বীপের দেশ কুয়েত থেকে কফিনে করেRead More