সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল ৪ হাজার পরিবার
নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল ৪ হাজার গৃহহীন পরিবার। ফলে ঈদের আগে এসব পরিবারের মানুষ পেলেন স্থায়ী ঠিকানা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এই ভূমিহীনদের মাঝে জমির দলিলসহ এসব ঘর হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিয়ে মহাযজ্ঞ চলছে সারা দেশে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে এবার ৬৫ হাজার ৪৭৪টি পরিবার ঘর পাবে।
তন্মধ্যে সিলেট বিভাগে ৪ হাজার ৬৯ ও জেলায় ৮১৭টি পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর।
মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের চারটি উপজেলায় গৃহহীন মানুষের হাতে উপহারের এসব ঘর হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল সারাদেশের মতো সিলেট বিভাগের সকল উপজেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে ঈদের আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ৩২ হাজার ৯০৪ জনকে ঘর উপহার দিচ্ছি। আমি বলবো, এটা ঈদ উপহার।
একটা ঘর পেয়ে মানুষ যখন হাসে তখন সব থেকে বেশি ভালো লাগে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা এটাই তো চেয়েছিলেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে সিলেট জেলায় ৮১৭টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে জেলার বালাগঞ্জে ৪২, বিয়ানীবাজারে ১২০, বিশ্বনাথে ৩৩, কোম্পানীগঞ্জে ৩৩, ফেঞ্চুগঞ্জে ১২, গােলাপগঞ্জে ৫০, গােয়াইনঘাটে ২২৪, জৈন্তাপুরে ৮৭, কানাইঘাটে ৮৪, সিলেট সদরে ৬০, জকিগঞ্জে ৩৫, দক্ষিণ সুরমায় ২৭ ও ওসমানীনগরে ১০টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে।
আরও জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের প্রতিটি ঘরের নির্মাণ খরচ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে প্রতিটি ঘরের জন্য প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে এসেছে বেশ পরিবর্তন। ব্যয়ও বাড়ানো হয় আগের তুলনায় ৬৯ হাজার টাকা। যে কারণে ঘরগুলো মজবুত হয়েছে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
উল্লেখ্য, সিলেট জেলায় ১ম পর্যায়ে ৩ হাজার ১৩৭টি, ২য় পর্যায়ে ১১৫টি ঘর উদ্বোধন করা হয়েছে। ৩য় পর্যায়সহ সিলেট জেলায় মোট পুনর্বাসিত পরিবারের সংখ্যা হবে ৪ হাজার ৬৯টি।
Related News
বাংলাদেশি নার্স নেবে সৌদি আরব: তথ্য পাঠানোর আহ্বান বোয়েসেল’র
সৌদি আরবে আফরাস ট্রেডিং এন্ড কন্ট্রাকটিং কোম্পানিতে ফিমেল নার্সিং স্পেশালিস্ট হিসেবে বাংলাদেশি নার্স নিয়োগ দেয়াRead More
“সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবে”
“সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবে” শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়াRead More