কাবায় সেবায় ১৭ বছর, নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন দম্পতি
বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
প্রায় ১৭ বছর ধরে কাবা শরিফে আসা হাজি, ওমরাহ পালনকারী, সাধারণ মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের সেবা করছেন আশরাফ ও ফাতিমা দম্পতি। স্বামী-স্ত্রী মিলে এমন মহান সেবা করতে পেরে নিজেদের ভাগ্যমান মনে করেন শ্রীলঙ্কান এই দম্পতি। এমন কাজ করতে পেরে তারা খুবই তৃপ্ত। খবর সৌদি গেজেটের
আশরাফ এবং ফাতিমা পবিত্র দুই মসজিদ (মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী) বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির অধীনে ১২ হাজার কর্মচারীদের মধ্যে দুইজন, যারা মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে (কাবা শরিফ) কাজ করেন। দীর্ঘ সময় ধরে ইসলামের পবিত্রতম স্থানে সেবা করার সম্মান পেয়ে তারা আনন্দ প্রকাশ করেন।
ওই দম্পতি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি এমন মহান কাজ করতে পারা সৃষ্টিকর্তার রহমত। তারা হারাম শরিফে কাজ করার সময় অনেক অবিস্মরণীয় গল্প এবং অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন।
ফাতিমা জানান, ১৭ বছর আগে ফাতিমা গ্র্যান্ড মসজিদে কাজ করতে এসেছিলেন। তিনি মহিলাদের প্রার্থনার জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। কয়েক বছর পর স্বামী আশরাফকে এখানে কাজ দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্সির কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। তারপর থেকে স্বামী-স্ত্রী মিলে কাবা প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালন করছেন।
ফাতিমা জানান, ‘হারাম শরিফে চার বছর একা কাজ করার পর প্রেসিডেন্সির কাছে অনুরোধ করেছিলাম যে আমাকে শ্রীলঙ্কা থেকে আমার স্বামীকে কাজ করতে আনতে। প্রেসিডেন্সি আমার অনুরোধের অনুমোদন দিয়েছে এবং অবশেষে আশরাফকে গ্র্যান্ড মসজিদে একজন কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।’
আশরাফ বলেন, ‘গ্র্যান্ড মসজিদে কাজ করা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আনন্দের বিষয়। ফাতিমা এবং আমি একই শিফটে কাজ করি এবং একে অপরকে সহায়তা করি। আমরা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ওমরাহ পালন করি। এমন কাজ করে নিজেদের ধন্য মনে করি।’
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More