কানাডায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক :
পড়ালেখার উদ্দেশ্যে তিন বছর আগে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে কানাডার টরন্টোতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি হাসিবুল আলম। তিন বছরের পরিশ্রম সফলাতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু ডিগ্রি হাতে পাওয়ার মাত্র ১০-১৫ দিন আগেই তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।
হাসিবুল আলমের বন্ধু জুবায়ের সাঈদ ফান্ড সংগ্রহকারী ওয়েবসাইট গোফান্ডমি ডটকমে তার মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য ফান্ড সংগ্রহ করেছেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ হয়েছে বলে সেখানে জানিয়েছেন সাঈদ।
তিনি ওই লেখায় জানিয়েছেন, টরন্টোর হাম্বার কলেজ থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্টে ডিপ্লোমা করছিলেন হাসিবুল আলম। স্থানীয় সময় ২ এপ্রিল (পহেলা রমজান) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সাঈদ জানিয়েছেন, হাসিব গত কয়েকদিন ধরে জয়েন্টে ও হাত-পায়ে ব্যথা অনুভব করছিলেন এবং প্রস্রাবে রক্ত আসছিল। ১ এপ্রিল মধ্য রাতে ব্যথা মারাত্মক আকার নিলে তার রুমমেটরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান যে, রোগীর অবস্থা সংকটজনক এবং খুব বেশি সময় তিনি বাঁচবেন না।
এরপর দ্রুত তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৭টায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
তার অসুস্থতা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
হাসিবুলের বন্ধু সাঈদ জানিয়েছেন, কানাডায় হাসিবুলের স্বজন কেউ নেই। আমরা যারা বন্ধু রয়েছি এবং তার রুমমেটরাই কানাডায় তার পরিবার।
বাংলাদেশে হাসিবুলের মরদেহ পাঠাতে ফান্ড সংগ্রহ করেন সাঈদ। সেখানে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৬,৫০০ কানাডিয়ান ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। ১৪১ জন হাসিবুলের জন্য অনুদান দিয়েছেন।
নির্দিষ্ট অর্থ সংগ্রহ হয়ে গেলে সাঈদ জানিয়েছেন, সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছেছি। আর কোনো অনুদানের প্রয়োজন নেই। হাসিবের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর অগ্রগতি এবং টরন্টোতে দোয়ার আয়োজনের বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।
Related News

পাকিস্তানকে আইএমএফ-এর ঋণ দেওয়া কেন ঠেকাতে পারেনি ভারত?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ গত সপ্তাহে পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের ‘বেলআউট প্যাকেজ’ (সহায়তাRead More

ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায়
ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায় পৃথিবীর অন্যতম মহাদেশ ইউরোপ। প্রতিবছর বিশ্বের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী, দক্ষ কিংবাRead More