দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হলে অজু ভেঙে যাবে?
ধর্ম ডেস্ক:
আমার দাঁতের মাড়ি খুব দুর্বল। যে কারণে অনেকসময় আপেল বা শক্ত কোনো খাবারে কামড় দিলে তাতে খুব সামান্য রক্তের ছাপ দেখতে পাই। কিন্তু সাথে সাথে থুথু ফেললে এর সাথে কোনো রক্তের ছাপ দেখতে পাই না। এর কারণে কি আমার ওযু ভেঙে যাবে এবং আমাকে পুনরায় অজু করতে হবে? জানালে খুব ভালো হতো।
এই প্রশ্নের উত্তর হলো- এখানে উল্লিখিত প্রশ্নের ধরন ও বর্ণনা অনুযায়ী খাবারের সাথে দৃশ্যমান রক্তের পরিমাণ যেহেতু খুবই কম; তাই এর দ্বারা ওযু নষ্ট হবে না। ওযু ভঙ্গের জন্য গড়িয়ে পড়া পরিমাণ রক্ত বের হতে হবে। আর থুথুর সাথে রক্ত দেখা দিলে থুথুর চেয়ে রক্তের পরিমাণ বেশি অথবা সমান হতে হবে। নতুবা ওজু ভাঙবে না।
তথ্যসূত্র : মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা : ১৩৩৯, ১৩৪৪; কিতাবুল আছল : ১/৪৪; বাদায়িউস সানায়ি : ১/১২৫; শরহুল মুনইয়া, পৃষ্ঠা : ১৩২; ফাতাওয়া খানিয়া : ১/৩৮; আত-তাজনিস ওয়াল মাযিদ : ১/১৪৭; আদ্দুররুল মুখতার : ১/১৩৮
নামাজে অজু ভেঙে গেলে করণীয়
প্রসঙ্গত, কারও নামাজে যদি অজু ভেঙে যাওয়ার মতো ব্যাপার ঘটে এবং তিনি যদি নিশ্চিত হন যে— তার অজু ভেঙে গেছে, তাহলে তিনি অজু করার জন্য চলে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে কারও সাথে কথা বলতে পারবেন না অর্থাৎ নামাজ ভঙ্গ হয়— এমন কোনো কাজ করতে পারবেন না।
জামাতে যদি নামাজ আদায় করে থাকেন, তাহলে কারও সাথে কোনো কথা না বলে অজু করে নেবেন এবং নামাজের যে অংশে অজু ভঙ্গ হয়েছিল— সেখান থেকে নামাজ শুরু করতে পারেন। অর্থাৎ ইমামের সাথে দুই রাকাত নামাজ আদায় করার পর কারও অজু ভেঙে গেছে, তাহলে ইচ্ছে করলে তিনি এরপর বাকি দুই রাকাত নামাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। অজু ভাঙার কারণে তার নামাজ ভাঙেনি, তাই নামাজ ধারাবাহিকভাবে শেষ করতে পারবেন অথবা ইচ্ছে করলে তিনি পুনরায় প্রথম থেকে নামাজ শুরু করে শেষ করতে পারবেন।
নামাজে অজু ভেঙে গেলে দুই পদ্ধতি
এক. অজু করবেন এবং অজু করে এসে যদি পথিমধ্যে কারও সাথে কোনো কথা না বলে থাকেন কিংবা নামাজ ভঙ্গ হয়— এমন কোনো কাজ না করে থাকেন, তাহলে যেখান থেকে তিনি নামাজ রেখে গেছেন; সেখান থেকে বাকি অংশটুকু পড়ে নিতে পারবেন।
দুই. অথবা অজু করে এসে ইচ্ছে করলে— শুরু থেকে নামাজ আদায় করতে পারবেন। অজু ভেঙে গেছে বলেই নামাজ ভেঙে গেছে এমনটি মনে করা ঠিক নয়। তবে পথিমধ্যে কারও সাথে কথা বললে কিংবা অন্য কোনো কাজে বিলম্ব করলে অবশ্যই নামাজ শুরু থেকে আদায় করতে হবে। (সূত্র : সুনানে দারাকুতনি, হাদিস : ১৭০৮)
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More