বাসর ঘর থেকে উধাও বর নববধূর কাছে ফিরলেন যেভাবে!
নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের বিশ্বনাথে বাসর ঘর থেকে উধাও হয়ে যান বর। ভোরবেলা নববধূর হাঁকডাকে ঘুম থেকে বিষয়টি জানতে পারেন বাড়ির মানুষের। দুদিন পর বাড়ি ফেরেন সেই বর। ফিরে বাড়ির মানুষকে শুনান এক তাজ্জব করা গল্প।
বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের সুখিপুর গ্রামের মো. বারাম আলীর ছেলে আবদুল সোবহান (২৭)। পেশায় তিনি একজন রংমিস্ত্রি। গত শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি বিয়ে করেন। পরদিন শনিবার ছিলো তার বাসর রাত। রাতের খাবার-দাবার শেষে পরিবারের লোকজন নবদম্পতিকে বাসরঘরে পাঠিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু পরদিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) সাতসকালে সকলের ঘুম ভাঙ্গে নববধূর হাঁকডাকে। জানান- বাসরঘর থেকেই উধাও বর আবদুল সোবহান। পরে সন্ধান পেতে তাকে খোঁজা হয় সম্ভাব্য সকল জায়গায়। পরিবারের লোকজন শরণাপন্ন হন থানা পুলিশেরও।
এরমধ্যেই, রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে হঠাৎ করেই বাড়িতে হাজির হন আবদুল সোবহান। জানান- তার সঙ্গে ঘটে গেছে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা।
সোবহানের বড়ভাই আবদুর রউফ জানান, ‘বাসর ঘর থেকে নিখোঁজের প্রায় দুই ঘন্টা পর পর্যন্তও তার (আবদুল সোবহান) মুঠোফোন সচল ছিল। এরপর থেকে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। রবিবার রাতে আমরা থানায় জিডি করতে গেলে ওই রাত আড়াইটার দিকে আমার বাড়ির লোকজন মুঠোফোনে জানান, কিছুটা অচেতন অবস্থায় ফিরে এসেছে সোবহান।’
সোবহানের বরাত দিয়ে আবদুর রউফ আরও জানান, ‘বাসর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হন আবদুল সোবহান। এ সময় তিনি শুনতে পান- তার এক চাচাতো ভাইয়ের কণ্ঠে কেউ একজন তাকে ডাকছে। তারপর কী ঘটেছে আর বলতে পারেন না সোবহান। পরে রবিবার দিনের বেলা তিনি নিজেকে ঢাকার গাজীপুরের ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে দেখতে পান। সেখানকার লোকজনের সহায়তায় বাসযোগে বাড়িতে ফেরেন তিনি।’
বাড়িতে ফেরা আবদুল সোবহানের ঘাড়ে ও উভয় কানে তিনটি লালচে দাগ দেখা গেছে বলেও জানান আবদুর রউফ।
বিশ্বনাথ থানাপুলিশ এ বিষয়ে জানায়, বাসর ঘর থেকে আবদুল সোবহান নিখোঁজের ঘটনায় তার ভাই থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Related News
মাধবপুরে পাঁচ বছর ধরে বন্ধ পাবলিক লাইব্রেরি
মাধবপুরে পাঁচ বছর ধরে বন্ধ পাবলিক লাইব্রেরি বছরের পর বছর ধরে বন্ধ থাকায় হবিগঞ্জের মাধবপুরRead More
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ আরব উপদ্বীপের দেশ কুয়েত থেকে কফিনে করেRead More