Main Menu

যাদের সঙ্গে সব সময় শয়তান থাকে

মারজিয়া আক্তার, অতিথি লেখিকা:
শয়তান মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। শয়তান মানুষকে ধোঁকা দেয়। মন্দ কাজে প্রলুব্ধ করে। ক্রমে ক্রমে আল্লাহ কুফর ও শিরকে লিপ্ত করে। সবশেষে চিরদুঃখের ও অশান্তির জায়গা জাহান্নামে পৌঁছিয়ে দেয়।

শয়তান থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহ তাআলা কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে বলেছেন। এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না।’ (সুরা নুর, আয়াত : ২১)

যাদের পেছনে শয়তান লেগে থাকে

শয়তান কাদের পেছনে লেগে থাকে এবং কাদের ভুল পথে পরিচালিত করে— তাদের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের অনেকগুলো আয়াতে এ বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা এক আয়াতে বলেন, ‘আমি কি তোমাদের জানাব কার কাছে শয়তান অবতীর্ণ হয়? শয়তান অবতীর্ণ হয় ঘোর মিথ্যাবাদী ও পাপীর কাছে।’ (সুরা শুআরা, আয়াত : ২২১-২২২)

পাষাণ হৃদয়ের মানুষের সঙ্গী শয়তান

যারা অন্যের পেছনে লেগে থাকে এবং পাষাণ হৃদয়ের হয়— তাদের পেছনেও শয়তান লেগে থাকে। তাদের জন্য অকল্যাণ, অমঙ্গল ও নানা রকম ক্ষতি নিয়ে আসে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটা এই জন্য যে শয়তান যা প্রক্ষিপ্ত (পাঠ) করে, তিনি তা তাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ করেন— যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে এবং যারা পাষাণ হৃদয়। নিশ্চয়ই জালিমরা দুস্তর মতভেদে আছে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৫৩)

আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিলের সহচর শয়তান

অনেক মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়। তারা মহান প্রতিপালক ও স্রষ্টা আল্লাহর স্মরণে গাফিলতি করে। তার ইবাদত-বন্দেগি থেকে দূরে সরে থাকে। আর এমন সব লোকদের পেছনে শয়তান লেগে থাকে।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর স্মরণে বিমুখ হয়, আমি তার জন্য নিয়োজিত করি এক শয়তান। অতঃপর সে হয় তার সহচর। শয়তানরাই মানুষকে সৎপথ থেকে বিরত রাখে, অথচ মানুষ মনে করে তারা সৎপথে আছে।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৩৬-৩৭)

যারা আল্লাহকে স্মরণ করে না, তারা শয়তানের দোসর

আল্লাহর কথা যাদের মনে পড়ে না এবং যারা মন আল্লাহকে স্মরণ করে না; শয়তান তাদের পেছনে লেগে থাকে। তাদের বিপথে পরিচালিত করে— তাদের দুনিয়া-আখিরাত বরবাদ করে দেয়।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শয়তান তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। ফলে তাদের ভুলিয়ে দিয়েছে আল্লাহর স্মরণ। তারা শয়তানের দল। সাবধান! শয়তানের দল অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা মুজাদালা, আয়াত : ১৯)






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *