সেতুমন্ত্রীর সেই বেয়াইকে আ.লীগ থেকে অব্যাহতি
নিউজ ডেস্ক:
নোয়াখালী: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) তার সঙ্গে প্রার্থী হতে চাওয়া ডা. একেএম জাফর উল্যাহকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ তাকে এ অব্যাহতি দেয়।
জাফর উল্যাহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তাছাড়া ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) হওয়ায় ‘ওবায়দুল কাদেরের বেয়াই’ হিসেবেও এলাকায় পরিচিত।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রমের কারণে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। ’
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে নিজেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে ওই এলাকায় শুভেচ্ছা পোস্টার লাগান ডা. একেএম জাফর উল্যাহ।
এ নিয়ে ০৫ জানুয়ারি দুপুরে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) ডা. একেএম জাফর উল্যাহকে ‘দুর্নীতিবাজ ও দুদকের আসামি’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ থেকে তার বহিষ্কারের দাবি তোলেন।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, ডাক্তার জাফরউল্লাহ জাসদের ও একরামের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী। দুর্নীতিবাজ, যার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা আছে- তিনি এখন নোয়াখালী-৫ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবের সম্মান নষ্ট করছে এবং আওয়ামী লীগকে কলঙ্কিত করছে। তাকে অনতিবিলম্বে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক।
অব্যাহতির ব্যাপারে ডা. একেএম জাফর উল্যাহ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ কী সিদ্ধান্ত নিল, তা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি আরও বেশি শক্তি, সাহস ও উদ্দীপনা নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব।
Related News
বাংলাদেশি নার্স নেবে সৌদি আরব: তথ্য পাঠানোর আহ্বান বোয়েসেল’র
সৌদি আরবে আফরাস ট্রেডিং এন্ড কন্ট্রাকটিং কোম্পানিতে ফিমেল নার্সিং স্পেশালিস্ট হিসেবে বাংলাদেশি নার্স নিয়োগ দেয়াRead More
“সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবে”
“সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবে” শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়াRead More