রাসুল সা. যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন
ধর্ম ডেস্ক:
দোয়া মুমিনের ইবাদত। আবার দোয়া ইবাদতের মগজও বটে। দোয়ার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। যেকোনো কিছু অর্জনে ও বিপদ-আপদ দূরকরণে দোয়ার ভূমিকা অপরীসিম। দোয়া করলে আল্লাহ বান্দার ওপর খুশি হন। প্রাপ্যের চেয়েও বাড়িয়ে দেন।
পবিত্র কোরআনে অনেক দোয়া উল্লেখ হয়েছে। এছাড়াও আল্লাহ রাসুল (সা.) অনেক দোয়া শিখিয়েছেন। দোয়াগুলো করলে মুমিন উপকৃত হয়। আল্লাহর রাসুল যেসব দোয়া পড়তেন, সেগুলোর মধ্যে কিছু দোয়া তার প্রিয় ছিল। আবার কিছু দোয়া তার সাহাবিদের বিশেষভাবে শিক্ষা দিয়েছেন।
বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত কাতাদাহ (রহ.) সাহাবি আনাসকে (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, নবী করিম(সা.) কোন দোয়া বেশি করতেন? উত্তরে সাহাবি আনাস (রা.) নিম্নোক্ত দোয়ার কথা জানালেন। তাই আনাস (রা.) নিজে যখনই দোয়া করতেন- তখনই দোয়াতে এই আয়াত প্রার্থনারূপে পাঠ করতেন। এমনকি কেউ তার কাছে দোয়া চাইলে— তিনি তাকে এ দোয়া দিতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭০১৬)
দোয়াটি হলো :
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাহ্, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ্। ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাদের দুনিয়াতে সুখ-কল্যাণ দান করুন, আখেরাতেও সুখ-সমৃদ্ধি দান করুন এবং জাহান্নাম থেকে আমাদের রক্ষা করুন। (সুরা আল-বাকারা, আয়াত : ২০১)
এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়ে থাকে। নবী করিম (সা.) এ দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পাঠ করতেন। আনাস (রা.) আরও বলেন, আল্লাহ তাআলা এ দোয়ায় দুনিয়া ও আখেরাতের সকল কল্যাণ এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা একত্রিত করে দিয়েছেন।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More